আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা):
হযরত খিযির (আ) মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইতকে সান্ত্বনা দেন
সা'লাবীর বর্ণনা মোতাবেক যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রেহলাত করেন তখন হযরত খিযির (আ) মহানবীর গৃহের দরজার কাছে উপস্থিত হয়ে হযরত আলী, হযরত ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনকে (আলাইহিমুস সালাম) উদ্দেশ্য করে বলেন: হে নবীর আহলুল বাইত! আপনাদের উপর সালাম। প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আর অবশ্যই মহান আল্লাহ কিয়ামত দিবসে আপনাদেরকে পূর্ণ প্রতিদান দান করবেন। মহান আল্লাহর সুন্নাত (রীতি ও নিয়ম) অনুযায়ী যে ব্যক্তি এ দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় তার পরিবর্তে তার স্থলাভিসিক্ত থাকে । আর প্রতিটি মুসীবতেই রয়েছে সান্ত্বনা (তাসলিয়ত) এবং প্রতিটি হারোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল ও নির্ভর করুন এবং আমি মহান আল্লাহর দরগাহে আমার ও আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আহলুল বাইতের (আ) সবাই তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন কিন্তু তাঁকে দেখতে পেলেন না । হযরত আমীরুল মু'মিনীন আলী (আ) বললেন: "তিনি আমার ভাই খিযির (আ) যিনি মহানবীর (সাঃ) ওফাতের মুসীবতে তোমাদের সবাইকে সান্ত্বনা জানাচ্ছেন।" (দ্রঃ আন্ওয়ারুল বাহীয়াহ্, পৃ :৩৮।)
শেখ তূসী স্বীয় গ্রন্থ তাহযীবে লিখেছেন : মহানবী (সা.) ইতঃপূর্বে যে বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছিলেন সে কারণে রোয সোমবার ২৮ সফর ১১ হিজরীতে রেহলাত (মৃত্যু বরণ) করেন । এজন্য তাঁর (সা.) ওফাত ও রেহলাত শাহাদাত সম বলা হয় । অর্থাৎ এ দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি (সা.) আসলেই শহীদ (মহান আল্লাহ তাঁকে শাহাদাতের সুউচ্চ মর্যাদাও দান করেছেন) । মহানবী (সাঃ) মদীনায় হিজরতের পর ওফাত পর্যন্ত ১০ বছর জীবিত ছিলেন এবং এ সময় তিনি আরবে দ্বীন-ই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। আল্লামা সা'লাবী বলেছেন: "মহানবী (সা.) যোহরের সময় এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।" (দ্রঃ আন্ওয়ারুল বাহীয়াহ্ পৃ: ৩৭ - ৩৮)
মহানবীর (সাঃ) শোকে হযরত আলী (আ) মর্সিয়া ও শোক গাঁথা :
الموت لا والد یُبقِي و لا ولداً
هذا السبیلُ إلیٰ أن لا تریٰ أحداً
هذا النبيُّ و لم یخلُد لأمّته
لو خلَّد الله خلقاً قبلَه خلداً
الموت فینا سِهام غیرّ خاطئةٍ
من فاته الیومَ سهمٌ لم یفُتْهُ غداً
মৃত্যু পিতা পুত্র কাউকেই রেহাই দেয় না (বিদ্যমান রাখে না)
এ পথ (মৃত্যু বরণ) অব্যাহত আছে যে সবাই মৃত্যু বরণ করবেই (সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতেই হবে)।
মৃত্যু এমনকি মহানবীকে (সা.) তাঁর উম্মতের জন্যও বিদ্যমান রাখে নি
যদি মহান আল্লাহ নবীর (সা.) আগে কাউকে জীবিত ও বাঁচিয়ে (অমর) রাখতেন তাহলে তাঁকেও (সা.) জীবিত ও বাঁচিয়ে (অমর) রাখতেন
আমাদের দিকে মৃত্যু স্বীয় শর বা তীর অভ্রান্ত ভাবে তাক করে রেখেছে
আজ যাকে মৃত্যুর তীর করে নি আঘাত আগামীকাল তাকে ঠিকই ঐ তীর করবে আঘাত।
হযরত আমীরুল মুমিনীন আলী (আ) মহানবীর (সা.) জানাযার গোসল ও হানূতের দায়িত্ব নেন মহানবীর (সাঃ) নির্দেশ ও ওয়াসিয়ত অনুযায়ী। উল্লেখ্য যে মহানবীর (সাঃ) জানাযার গোসল দানের ক্ষেত্রে ফেরেশতাগণ হযরত আলীকে (আ) সাহায্য করেন। হযরত আলী (আ) থেকে বর্ণিত আছে: গোসলের সময় গায়েব থেকে আমাদের সাহায্য করা হচ্ছিল। আমরা তাঁর যে অঙ্গ ধৌত করেছি, তা ওলটপালট করার কাজে অদৃশ হাত কর্মরত ছিল।
মহানবীর (সা.) দেহ মুবারক ছিল পুত পবিত্র। হযরত আলী (আ) গোসল দেওয়ার সময় রাসূলুল্লাহর (সা.) দেহে কোন প্রকার ময়লা না দেখে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বলে ওঠেন: রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন মরণ সর্বাবস্থায় কত পূতপবিত্র (দ্রঃ আল্লামা আব্দুর রহমান জামী প্রণীত শাওয়াহেদুন নবুয়ত, পৃ ১৪৩) ! হযরত আলী (আ) পিতৃব্য পুত্র ফযল ইবনে আব্বাস (রা) কে ডেকে পানি আনতে বলেন । ফযল ইবনে আব্বাস পানি আনছিলেন এবং গোসল দেওয়ার ক্ষেত্রে হযরত আলীকে (আ) সাহায্য করছিলেন। হযরত আলী (আ) মহানবীকে (সা.) তাঁর (সা.) পরিহিত পোশাকের মধ্যেই গোসল দেন ।
গোসল ও তাকফীনের (কাফন পরানো) পর হযরত আলী (আ) মহানবীর (সাঃ) ওপর সর্বপ্রথম জানাযার নামায আদায় করেন এবং এরপর সাহাবাগণ দলে দলে এসে ইমাম ছাড়াই মহানবীর (সাঃ) নামাযে জানাযা পড়েন । যে হুজরায় মহানবী (সা.) রেহলাত করেন সেই হুজরায় হযরত আমীরুল মু'মিনীন আলী (আ) তাঁকে (সা.) দাফন করেন । (দ্রঃ আন্ওয়ারুল বাহীয়াহ্,পৃ :৪১ - ৪২ এবং মাফাতীহুল জিনান , পৃ : ৫৩৪)
হযরত ফাতিমার (আ) তীব্র শোক ও দুঃখ:
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন: যখন মহানবীর (সা.) ব্যাধি কঠিন আকার ধারণ করল এবং তিনি মুর্ছা যেতে ও অজ্ঞান হতে লাগলেন তখন ফাতিমা (আলাইহাস সালাম) বললেন ওয়া কারবা আবাহ্ (হায় আমার বাবার কত কষ্ট !) । মহানবী (সা.) তাঁকে বললেন: "আজকের পরে তোমার পিতার আর কোন কষ্ট থাকবে না।" অতঃপর যখন মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করলেন তখন তিনি (ফাতিমা) বললেন :
‘হে আমার পিতা! যে মহান প্রভু আপনাকে ডেকেছেন তাঁর ডাকে আপনি সাড়া দিয়েছেন। হে পিতা! জান্নাতুল ফিরদাউস আপনার বাসস্থান ও আশ্রয়স্থল। হে পিতা! জিব্রাইলের কাছে আমরা আপনার মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে শোক প্রকাশ করছি। অতঃপর যখন তাঁকে (সা.) দাফন করা হল তখন ফাতিমা (আলাইহাস সালাম) বললেন: হে আনাস! মহানবীর (সাঃ) ওপর মাটি ফেলতে কিভাবে: তোমাদের প্রাণ ও অন্তর সায় দিল ও সম্মত হল ?!! (দ্রঃ সহীহুল বুখারী, কিতাবুল মাঘাযী, মহানবীর (সাঃ) রোগ এবং তাঁর ওফাত অধ্যায়, হাদীস নং ৪৪৬২, পৃ : ১০৮৯)
عن أنس قال : لمّا ثقُل النبيُّ (ص) جعل یتغشّاه فقالت فاطمة علیها السلام . واکربَ أباهْ فقال لها : « لیس علیٰ أبیکِ کربٌ بعدَ الیومِ .» فلمّا مات قالت : • یا أبتاه أجاب ربّاً دعاه • یا أبتاه من جنّة الفردوس مأواه • یا أبتاه إلیٰ جبریل ننعاه . فلمّا دُفِن قالت فاطمة علیها السلام : یا أنسُ أطابتْ أنفسکم أن تحثُوا علیٰ رسول الله (ص) الترابَ •
একটি নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়ত অনুসারে, হযরত ফাতিমা (আ) মহানবীর (সাঃ) পবিত্র কবর থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়ে নিজের চোখ ও মুখের ওপর ঢালেন ও মাখেন । আর তখন তিনি বললেন :
مَاذَا عَلیَ الْمُشْتَمِّ تُرْبَةَ أَحْمَدَ • أَنْ لَا یَشَمَّ مَدَی الزٌَمَانٍ غَوَالِیَا
صُبَّتْ عَلَيَّ مَصَائِبُ لَوْ أَنَّهَا. • صُبَّتْ عَلَی الْأَیَّامٍ صٍرْنَ لَیَالٍیَ
আহমাদের (সা.) সমাধিস্থলের মাটির সুঘ্রাণ ও সুবাস গ্রহণকারীর কী আসে যায়
যদি সে দীর্ঘ দিন ধরে অপরাপর সুগন্ধির ঘ্রাণ নাও নেয়? [আহমাদের (সা.) সমাধিস্থলের মাটির ঘ্রাণ ও সুবাসই যথেষ্ট । তাই অন্য কোন দামী সুঘ্রাণ ও সুবাসেরও কোন প্রয়োজন নেই]
আমার ওপর [মহানবীর সাঃ মৃত্যুর কারণে ] এমন সব বিপদাপদ (মুসীবত) আপতিত হয়েছে যদি সেগুলো আপতিত হত দিবস সমূহের ওপর তাহলে সেগুলো (কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন) রাত্রিতে পরিণত হত!
ইমাম সাদিক্ব (আ) বলেছেন : যখন মহান আল্লাহ মহানবীর (সাঃ) রূহ (আত্মা) কবয করেন তখন হযরত ফাতিমা (আ) এতটা দুঃখ ভারাক্রান্ত ও শোকাহত হন যে মহান আল্লাহ ব্যতীত তাঁর (হযরত ফাতিমা) দুঃখ ও শোকের পরিমাণ ও মাত্রা আর কারো জানা ছিল না। মহান আল্লাহ হযরত ফাতিমার (আ) কাছে একজন ফেরেশতাকে পাঠিয়ে তাঁর শোক সন্তপ্ত অন্তরকে সান্ত্বনা দেন এবং তাঁর সাথে উক্ত ফেরেশতা কথোপকথন করেন। হযরত ফাতিমা (আ) এ বিষয়টা হযরত আলীকে (আ) জানালে আলী বললেন: যখনই তুমি ফেরেশতার আগমন অনুভব করবে ও বুঝতে পারবে এবং তাঁর আওয়াজ শুনতে পাবে তখন আমাকে জানিও।
হযরত ফাতিমা (আ) ফেরেশতার উপস্থিতি ও আগমনের কথা জানালে হযরত ফাতিমা (আ) ফেরেশতার কাছ থেকে যা কিছু শুনছিলেন তা তিনি (আলী) লিপিবদ্ধ করেন । অবশেষে এই লেখাটি মুসহাফের (বাঁধাই কৃত গ্রন্থ) আকার লাভ করে এবং এ গ্রন্থের অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে হযরত আলী (আ) বলেছেন : এতে হালাল-হারামের কোনো বিধান নেই । তবে ভবিষ্যতের সকল ঘটনা এতে উল্লেখিত হয়েছে (অর্থাৎ এ গ্রন্থে তাশরীয়ী বিষয় অর্থাৎ শরয়ী বিধিবিধান ও আহকাম বর্ণিত হয় নি ; বরং এতে তাক্ওয়ীনী বিষয়াদি বা ভবিষ্যতে সংঘটিতব্য সকল ঘটনা ও ব্যক্তির নাম বর্ণিত আছে)। এই মুসহাফই মুসহাফে ফাতিমী নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে (দ্রঃ আন্ওয়ারুল বাহীয়াহ্, পৃ : ৪০) । আর আল্লামা আব্দুর রহমান জামী লিখেছেন : মুসহাফে ফাতেমা বলা হয় , যার মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য সকল ঘটনা ও নামাবলী বিদ্যমান আছে (দ্রঃ আল্লামা আব্দুর রহমান জামী প্রণীত শাওয়াহেদুন নবুয়ত , পৃ : ২৪৮ , মাওলানা মুহিউদ্দীন খান কর্তৃক অনুদিত)।
আরেকটি রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে হযরত জিবরাঈল (আ) হযরত ফাতিমার (আ) খেদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁকে (আ) তাঁর পিতৃ বিয়োগে ভালো ভাবে সান্ত্বনা দিতেন এবং তার অন্তরকে প্রশান্ত করতেন (দ্রঃ আন্ওয়ারুল বাহীয়াহ্, পৃ. ৪০; উসূলুল কাফী, খ. ১, পৃ. ৪৫৮ হযরত ফাতিমার (আ) জন্ম গ্রহণ সংক্রান্ত অধ্যায়, হাদীস নং ১)
হযরত ফাতিমা (আ) মহানবীর (সাঃ) ওফাতে এবং ওফাতোত্তর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এতটা ব্যথিত ও শোকগ্রস্ত হয়েছিলেন যে তিনি সকাল সন্ধ্যা সবসময় ক্রন্দন, শোক ও বিলাপ করতেন। দিবারাত্রি হযরত ফাতিমার (আ) ক্রন্দন , বিলাপ ও শোক প্রকাশের ব্যাপারে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করলে হযরত আলী (আ) জান্নাতুল বাকী গোরস্থানে নবী পুত্র হযরত ইব্রাহীম ইবনে রাসূলিল্লাহর (সা.) কবরের কাছে হযরত ফাতিমার (আ) জন্য বাইতুল আহযান (শোক ও ক্রন্দনের গৃহ) নির্মাণ করেন । হযরত ফাতিমা সেখানে তাঁর শোকের দিবসগুলোতে স্বীয় পিতার (সা.) জন্য শোক করতেন (দ্রঃ আল্লামা সামহূদী প্রণীত ওয়াফাউল ওয়াফা ফী আখবারি দারিল মুস্তাফা, খ. ৩, পৃ. ৯৫ ও ১০২) । এই বাইতুল আহযান (بیت الأحزان) [যা সামহূদী বাইতুল হুযন (بیت الحزن) বলে উল্লেখ করেছেন এবং আহযান হুযন শব্দেরই বহুবচন এবং হুযন (حزن) শব্দের অর্থ দুঃখ, শোক ] পরবর্তীতে হযরত ফাতিমার (আ) মসজিদ হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছিল এবং আল্লামা সামহূদীর (মৃ. ৯১১ হিজরী) যুগেও বিদ্যমান ছিল তাই এ গৃহ ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শোক ও ক্রন্দনের গৃহ এবং হযরত আলী (আ) ও হযরত ফাতিমার (আ) সীরাত ও পন্থা অনুসরণ করে মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইতের (আ) অনুসারী শিয়া মুসলমানরা হুসাইনিয়াহ ও যাইনাবিয়াহ নির্মাণ করেন যা আসলে বাইতুল হুযন বা বাইতুল আহযান (শোক ও ক্রন্দনের গৃহ বা আযাখানা)। আমাদের বাংলাদেশে হুসাইনিয়াহ্ ইমাম বাড়ী (ইমাম বারা) হিসেবেও পরিচিত। স্মর্তব্য যে হযরত ফাতিমার (আ) এ পূণ্য স্মৃতি বাইতুল হুযন বা বাইতুল আহযান পরবর্তীতে হযরত ফাতিমার (আ) মসজিদ হিসেবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলিম উম্মাহ কর্তৃক সংরক্ষিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে ৮ শাওয়াল ১৩৪৪ হিজরীতে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় দুশমন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক হিজায ও আরব উপদ্বীপের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ওয়াহহাবী মতাবলম্বী সৌদী রাজতান্ত্রিক সরকার ঠুনকো যুক্তি দেখিয়ে জান্নাতুল বাকীর সমাধি সৌধ , ঐতিহাসিক নিদর্শন ও মাযার-মাশহাদ ধ্বংস করার সময় হযরত ফাতিমার (আ) মসজিদ বলে খ্যাত এই বাইতুল আহযানও সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয় ।
২৮ সফর হযরত রাসূলুল্লাহর (সাঃ) শাহাদাত সম মৃত্যু বার্ষিকী এবং ইমাম হাসানের (আ) শাহাদাত উপলক্ষে সবাইকে জানাই আন্তরিক শোক ও তাসলিয়ত । মহান আল্লাহ আমাদেরকে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং তাঁর আহলুল বাইতের (আ) সুন্নত , সীরাত, শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করার তৌফিক দিন।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
২৮ সফর ১৪৪৬ হিজরী
(সমাপ্ত)