আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আরবাঈনে হুসাইনির মহাসমাবেশে সক্রিয়দের চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন গত ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর সংস্কৃতি, প্রচার, গবেষণা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ১০ মুসলিম দেশের ৩ শতাধিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে মাশহাদ শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে ইরানের জাতীয় সংসদের স্পিকার মুহাম্মাদ বাকির কালিবাফ এক বার্তায় বলেন: আরবাঈনে হুসাইনি তথা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর চল্লিশায় অনুষ্ঠিত লাখো যায়ের ও মহানবি (স.)-এর আহলে বাইত (আ.)-এর কোটি ভক্তের অংশগ্রহণ বর্তমানের কোলাহলপূর্ণ পৃথিবীতে একটি সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে; যা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের হৃদয়ে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে এবং তাদেরকে আশার বাণী শোনাচ্ছে।
আরবাঈনে হুসাইনি (আ.) মহাসমাবেশ কেন্দ্রীক সাংস্কৃতিক বিষয়ক পরিষদের সভাপতি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন হামিদ আহমাদি ঐ সমাবেশে বলেন: আরবাঈনের এ মহাসমাবেশ ও নজীরবিহীন পদযাত্রা, নতুন এক সভ্যতা ও মুসলিম উম্মাহ’র সংশোধনের ক্ষেত্র হিসেবে আশুরা সংস্কৃতির পরিচয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে আরবাইনে হুসাইনি বিভিন্ন জাতি এবং ইরান ও ইরাকের মাঝে ঐক্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে; যা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।
তিনি বলেন: আরবাইনে হুসাইনি’ মহাসমাবেশ কেন্দ্রীক সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তৎপরদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয় হলো, এই আয়োজনে সরকার পক্ষের কোন হস্তক্ষেপ নেই এবং এর বিপরীতে এই মহা আয়োজনকে সহজ করতে তাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা লক্ষ্য করা যায়, এই মহাসমাবেশের নিরাপত্তা ঐ সকল সহযোগিতাগুলোর অন্যতম।
১ কোটি যায়েরকে আপ্যায়নের সামর্থ আমাদের রয়েছে
ইরাকের রেডিও ও টেলিভিশন ইউনিয়নের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন সাইয়্যেদ হামিদ হুসাইনি আরও বলেন: মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতি এবং বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইরানি ভাইদের থেকে আমাদের প্রত্যাশা হলো আগামী বছর তাদের উপস্থিতির সংখ্যা এক কোটি ছাড়াবে; আর এর মাধ্যমে তারা মুসলিম জাহানের শত্রুদেরকে হতাশ করবে এবং ২ দেশের জনগণের মাঝে অধিক ঐক্যের কারণ হবে। হযরত সাইয়্যেদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর যায়েরদের জন্য ইরাকের জনগণের দরজা উন্মুক্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন ও গাজার শহীদদের স্মরণে বিশেষ স্মরণসভা ছিল উক্ত সম্মেলনের কর্মসূচীগুলোর অন্যতম। ইমাম আলী ইবনে মুসা আর-রেযা (আ.)-এর মাজারের আঙিনায় আহলে সুন্নতের বিশিষ্ট আলেমগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ঐ বিশেষ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।#176