সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, সেদেশে হত্যা ও লুটপাটের বিস্তার, ইসরাইল কর্তৃক সিরিয়ার কুনেইত্রা প্রদেশের ৯৫ শতাংশ এলাকা দখল প্রভৃতি সেখানকার সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ খবর। পার্সটুডের এই প্রতিবেদনে সেসব তুলে ধরা হল:
ইসরাইল সিরিয়ার কুনেইত্রা প্রদেশের ৯৫ শতাংশ এলাকা দখল করেছে
আল-আলম জানিয়েছে, সিরিয়ার কুনেইত্রা প্রদেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকা ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলে রয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এই অঞ্চলে অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর করার পরে সমস্ত কৌশলগত পাহাড় এবং কুনেইত্রা প্রদেশের সামরিক কেন্দ্রগুলো দখলে নিচ্ছে। ওই এলাকায় কোনা ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে না।
জোলানির কাছে ইসরাইল সরকারের বার্তা: আমরা সিরিয়া ছাড়ব না
ইসরাইলের দৈনিক ইয়াদিয়ুত অহারনুত পত্রিকা লিখেছে: তাহরির আশ-শামের কমান্ডার আহমদ আল-শারা (আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি) প্রায় এক সপ্তাহ আগে এক বার্তায় বলেছিলেন তিনি ইসরাইলের সাথে সংঘর্ষে যাওয়ার কোনোা ইচ্ছা পোষণ করেন না। কিন্তু তারপরও ইসরাইল দামেস্কের নতুন সরকারের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে বলেছে, দক্ষিণ সিরিয়া দখলে নেয়ার ব্যাপারে তারা তাহরির আশ শামের কোনো আপত্তি বা প্রতিবাদ মানবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা: সিরিয়ায় তাদের সৈন্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে
সিএনএন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেছে গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনা সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ২৫০০ এরও বেশি মার্কিন সেনা সিরিয়ায় অবস্থান করছে। সিএনএন এই কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে যোগ করেছে যে পেন্টাগন প্রতিবেশী দেশ যাতে ক্ষুব্ধ না হয় সে জন্য সিরিয়ায় মার্কিন সৈন্যের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করতে দ্বিধা করেছে।
সিরিয়ায় হত্যা ও লুটপাটের বিস্তার; প্রতি ১০ মিনিটে জোলানির সমর্থকদের হামলা
সিরিয়ার সূত্রগুলো জানিয়েছে যে এই দেশের ৯২০ শতাংশ তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় না এবং সিরিয়ার সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন তীব্রতর হয়েছে। এ বিষয়ে মেহর নিউজ এজেন্সি মঙ্গলবার আল-মালুমের বরাত দিয়ে ঘোষণা করেছে: প্রতি ১০ মিনিটে সিরিয়ায় অপহরণ, হত্যা অথবা লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত গত ২ দিনে ছয়টি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে জোলানির সমর্থকদের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে তাদের প্রতি আগামী দিনে সিরিয়ায় জনগণের ক্ষোভ আরও বাড়বে। #
