ইরানের তৎকালিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধান পরমাণু আলোচক সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি শেষবার ২০১৯ সালে বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন জেসিপিওএ'র একটি যৌথ পরামর্শমূলক অধিবেশনে অংশ নিতে। তবে এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি চীন সফরে গেছেন যখন দেশটিতে নববর্ষ বা বসন্ত উৎসব উদযাপনের আয়োজন চলছে।

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ - ১৮:৫০
একতরফাবাদ এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করবে ইরান ও চীন

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাকচি বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পার্সটুডের খবর অনুযায়ী কুদস পত্রিকা এই প্রসঙ্গে 'ইরান ও চীনের সোনালী অর্ধশতক পার" শিরোনামে একটি নিবন্ধে লিখেছে, বেইজিংয়ে পৌঁছে ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজধানী বেইজিংয়ে আব্বাস আরাকচির সফরের কারণ হিসেবে বলেছেন, এর মূল লক্ষ্য হল আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পরামর্শ করা এবং এটি একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। দুই দেশের সম্পর্ক সব সময় ভাল ছিল এবং এখনও আছে। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের অভিন্ন চিন্তাধারা অব্যাহত রাখাটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা সব আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ করেছি। এখন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে। নতুন বছরে আমাদের পারমাণবিক আলোচনা এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে যেখানে আমাদের আরও পরামর্শ করতে হবে।

ইতিহাসের ডানদিকে

ইরানের তৎকালিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধান পরমাণু আলোচক সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি শেষবার ২০১৯ সালে বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন জেসিপিওএ'র একটি যৌথ পরামর্শমূলক অধিবেশনে অংশ নিতে। তবে এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি চীন সফরে গেছেন যখন দেশটিতে নববর্ষ বা বসন্ত উৎসব উদযাপনের আয়োজন চলছে।

সফরের আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রকাশনাগুলোর মধ্যে একটি পিপলস ডেইলি'তে লেখা একটি নিবন্ধে লিখেছেন, একতরফাবাদ এবং আধিপত্যবাদ মোকাবেলার জন্য ইরান ও চীন সব সময় এক সঙ্গে কাজ করবে এবং তারা গ্লোবাল সাউথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সমৃদ্ধি, সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের পথে একসঙ্গে লড়াই করবে।

দুটি প্রাচীন এশীয় সভ্যতা হিসাবে ইরান ও চীন কঠিন সময়ের বন্ধু যারা সময়ের পরীক্ষায় একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং শান্তি নিশ্চিত করার জন্য দুটি দায়িত্বশীল দেশ হিসাবে তাদের ভূমিকা পালন করতে উচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য একপথে পা বাড়িয়েছে। ইরান-চীন সম্পর্কের পরবর্তী সোনালী অর্ধশতাব্দী দেখাবে যে এই সফরটি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত এবং বাস্তবসম্মত সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বিশেষ করে যখন চীনা প্রবাদবাক্য থেকে আমরা শিখি যে, "কর্ম শব্দের চেয়ে জোরে কথা বলে।"#

342/