২০০৯ সালে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দুই পরাজিত প্রার্থী নির্বাচনে জালিয়াতি এবং কারচুপির দাবি করার পর কিছু লোক ইরানের কিছু অংশে রঙ্গিন বিপ্লবের মডেল নিয়ে দাঙ্গা, বিক্ষোভ এবং বিশৃঙ্খলা শুরু করে। পার্সটুডের খবর অনুযায়ী, এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরে যে নথিপত্র এবং প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে যে বাইরের শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ থেকে আসা এজেন্টরা জাকজমকপূর্ণ বিপ্লবের দৃশ্যকল্পটি অনেক আগেই তৈরি করেছিল এবং এই ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছিল।
এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সময় পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য ছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারার নীতি। এক দিকে উদ্দেশ্যে ছিল ইরানের নির্বাচনের ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো থেকে সমাজের মানুষকে নিরুৎসাহিত করা এবং অন্যদিকে তারা ইরানে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা উৎখাতের চেষ্টা করেছিল। ইরানের প্রেসিডেন্টের দশম মেয়াদের নির্বাচনের পরে রাস্তার দাঙ্গা কোন প্রচলিত এবং সাধারণ ঘটনা ছিল না বরং এটি এমন ঘটনা যা নরম এবং রঙিন বিপ্লব বা ভেলভেট বিপ্লব নামে পরিচিত বিপ্লবের প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল।
পশ্চিমাদের দ্বারা সৃষ্ট এই বিশৃঙ্খলাগুলো যা শেষ সময়ে অল্প সংখ্যক দাঙ্গাবাজদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল তারা যখন ইসলামি পবিত্র জিনিসের অবমাননা করতে শুরু করল তখন তা ইরানি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি ও অসন্তোষকে জাগিয়ে তোলে এবং তার প্রতিবাদে লাখ লাখ লোক রাস্তায় নেমে আসে। জনগণ ৯ দে বা ২৯ ডিসেম্বর এই বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইরানে ধর্ম ভিত্তিক মানবিক নীতির প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করে। ইরানি ক্যালেন্ডারে এই দিনটিকে ইরানে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি সংহতি ও সমর্থন দিন হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল।
২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইরানের শত্রুরা দেশের অভ্যন্তরের কিছু দুর্বৃত্তকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দৃঢ়তা ও বিচক্ষণতার কারণে ওই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়।এখনো প্রতিবছর এই দিনে লাখ লাখ ইরানি ইসলামি বিপ্লবের প্রতি সংহতি এবং সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। #
342/