ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে তিনটি পর্যায়ে আমেরিকা কীভাবে গড়ে তুলেছে তা পর্যালোচনা করা হয়েছে লর্ড অফ ওয়ারে। প্রথম পর্যায়ে দায়েশ বা আইএসআইএসের গঠন, দ্বিতীয় পর্যায়ে দায়েশের চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছানো এবং তৃতীয় পর্যায়ে দেখানো হয়েছে দায়েশের ধ্বংস। পার্সটুডে আরও জানায়, এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের এক পর্যায়ে দেখানো হয়েছে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসরাইলের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো ছিল সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠিটির আস্তানা। ইসরাইলের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সামরিক অফিসাররা তাদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতো।
লর্ড অফ ওয়ার ডকুমেন্টারিতে ব্যবহৃত কিছু ছবি আমেরিকা এবং তাদের ড্রোনের কন্ট্রোল সেন্টারে প্রতিরোধ ফ্রন্টের ইন্টেলিজেন্স এবং আইডেন্টিফিকেশন ইউনিটে অনুপ্রবেশ করে নেওয়া হয়েছিল।
লর্ড অফ ওয়ার প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে আইএসআইএস সন্ত্রাসীদের সাহায্যকারী মার্কিন বাহিনীর অনস্বীকার্য বাস্তবতার অদেখা চিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একই সময়ে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করার ছবিও দেখানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রেডিও এবং টেলিভিশনে সেইসব প্রামাণ্য চিত্র প্রথমবারের মতো প্রচারিত হয়েছিল।
এই তথ্যচিত্রের একটি অংশ সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসআইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যুদ্ধের কিছু বাস্তব চিত্রও দেখানো হয়েছে। সেইসব চিত্র থেকে প্রমাণিত হয়ে যায় আমেরিকানরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আইএসআইএসকে সামরিক, লজিস্টিক এবং গোয়েন্দা সহায়তা প্রদান করেছে।#
342/